ভিউ: ১২০
অধ্যক্ষের বানী

অন্যান্য বাণী লিখবেন যত খুশি

গুণগত শিক্ষা ও শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ
শিক্ষার্থীকে করবে সমৃদ্ধ, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

স্নেহের শিক্ষার্থী, সম্মানিত অভিভাবক ও প্রিয় সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ, সবাইকে জানাইআন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও অভিনন্দন।

মেধা ও প্রতিভা নিয়ে পৃথিবীতে কেউ জন্মায় না। প্রতিভা ও মেধার বিকাশ ঘটাতে হয়। জন্ম নিলেই মানুষ মানুষ হয় না, মনুষ্যত্ব দিয়ে তাকে মানুষ বানাতে হয়। পিতামাতা হলও সন্তানদের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম অধ্যাপক এবং পরিবারই হল সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল মেধা ও প্রতিভা বিকাশের অন্যতম স্থান। সেই বিকাশের অন্যতম কারিগর হল শিক্ষক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান বিজ্ঞান, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার কল্যাণেই মনুষ্যত্ব ও মেধার সম্প্রসারণ ঘটে। আর মেধার সম্প্রসারণ ঘটাতে পারলেই জাগরণ ঘটে একটি জাতির। একটি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌছাতে হলে জাতিকে গড়ে তুলতে হবে শিক্ষিত করে। সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটেছে শিক্ষাক্ষেত্রেও। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের ফলে প্রযুক্তি আজ আকাশছোঁয়া। একবিংশ শতাব্দীর বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধতা গড়ে তোলা। এরই আলোকে বিশ্বের সাথে আমাদের দেশকে ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ‍ডিজিটাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঢাকা হাজারীবাগ থানার সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিবারও বদ্ধপরিকর।

প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা ও কাগজি সার্টিফিকেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না। পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটানোর চেষ্টা করে চলেছে। যার ফলস্বরূপ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা আজ দেশের সেনাপ্রধান, নাসার বিজ্ঞানী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, দেশ পরিচালনার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, আইনজিবি, লেখক, দেশ ও দেশের বাহিরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে তাদের দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বিদ্যালয়ের প্রতি প্রাক্তন ছাত্রদের রয়েছে অদম্য ভালোবাসা।
শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নিয়মিত অধ্যাবসায় একজন দুর্বল শিক্ষার্থীকেও সবল করে তোলে। বর্তমানের এই আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক যুগে অলস ভাবে সময় অতিবাহিত করার কোনো সুযোগ নেই। পরিবর্তিত কারিকুলাম ও সিলেবাসের ভিত্তিতে সঠিক পদ্ধতিতে পাঠ গ্রহণের ও অনুশীলনের জন্য বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ একদিকে যেমন সুশিক্ষিত অপরদিকে পরিবর্তিত কারিকুলাম ও নতুন শিখন পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কাজেই কোনো বিকল্প না ভেবে নিয়মিত বিদ্যালয়ে এসে প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের সান্নিধ্যে পাঠ গ্রহণ করে নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য যথার্থরূপে তৈরি করা সম্ভব। এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের যত শিক্ষার্থী উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে তারা প্রত্যেকেই নিয়মিত ছাত্র ছিল। মনে রাখবে শিক্ষা কোন করুণা নয়, শিক্ষা তোমাদের অধিকার। কাজেই পাঠের কোন বিষয়ে দুর্বোধ্য মনে হলে শিক্ষকগণকে প্রশ্ন করে জেনে নেবে। এ ব্যাপারে আমার শিক্ষকগণ খুবই আন্তরিক।

পরিশেষে নতুন বছর ও নতুন শিক্ষাবর্ষ আপনাদের সকলের জীবনকে সমৃদ্ধময় করে তুলুক এই শুভকামনা রইল সবার প্রতি।

জিসমা খাতুন
অধ্যক্ষ
ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট স্কুল
৪০/১, ইমান আলী রোড, সোনাতনগড়,
ফাতেমা ল কলেজ ভবন, জিগাতলা, ঢাকা।